Not a member of Pastebin yet?
Sign Up,
it unlocks many cool features!
- আমার মেয়ের বয়স সাত। ওর বয়স যখন আমার সমান হবে, তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটির কাছাকাছি। পৃথিবীর ইতিহাসে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার স্কয়ার কিলোমিটারে, আমার ধারণা, কখনোই (এবং আমি আবারও বলছি, কখনোই) এত বেশি প্রাইমেট এত ছোট জায়গায় একসাথে থাকেনি। এর ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে বাধ্য। এখন বাংলাদেশ যেভাবে চলছে, সেভাবে চললে, **This would be a dystopian nightmare**। আমি রাজনীতিবিদ না, এবং অবশ্যই আমি আপনার মোটিভেশনাল গুরুও না। যে আশাবাদ আমি নিজেই বিশ্বাস করি না, সেই আশাবাদের কথা বলে আমি আপনার বুদ্ধিমত্তা অপমান করব না।
- আমার চোখে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুব ভালো কিছু না আসার কথা, যে আমরা তার আগেই মাটিতে শুয়ে পড়ব সেইদিক থেকে। কিন্তু আপনারা যারা আমার কথা শুনছেন, মানে যাদের বয়স ২০-২৫ এর মতো, **You**’re exactly… এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার শুধুমাত্র একটা উপায় আছে: আমাদের মত না হওয়া।
- খুলে বলি, বাংলাদেশের নেতৃত্বে এসেছে এখন পর্যন্ত মোটামুটি চারটি প্রজন্ম:
- **প্রথম প্রজন্ম:** যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ করার বয়সে ছিলেন না, মানে ধরেন তখন যাদের বয়স ৪৫ এর উপরে ছিল—শেখ সাহেবের প্রজন্ম।
- **দ্বিতীয় প্রজন্ম:** যারা '৭১-এ ফিজিক্যালি যুদ্ধ করেছেন বা করার বয়সে ছিলেন, মানে ধরেন যখন তখন তাদের যাদের বয়স ১৯-২০ থেকে ৪০-৪৫ এর মধ্যে ছিল—আমার বাবা, জেনারেল জিয়া, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা। এরা হলেন এই প্রজন্মের মানুষ।
- **তৃতীয় প্রজন্ম:** যাদের জন্ম মোটামুটি ১৯৫৪ থেকে ১৯৭১ এর মধ্যে, মানে এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার মতো বয়সে ছিলেন না। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আছে এই তৃতীয় প্রজন্ম।
- আমরা হলাম বাংলাদেশের **চতুর্থ প্রজন্ম**, মানে যাদের জন্ম ১৯৭১ থেকে ১৯৮৫ এর মধ্যে। আমাদের প্রজন্ম অর্গানাইজেশনের লিডিং পজিশনগুলোতে সবে মাত্র যাওয়া শুরু করেছে।
- এই প্রত্যেকটা প্রজন্মে অসাধারণ ব্যক্তি ছিল এবং আছে, তারা শ্রদ্ধেয়। কিন্তু সম্মিলিতভাবে এই প্রত্যেকটা প্রজন্ম… এবং আমি বিশ্বাস করতে পারি, জেনারেশন থ্রি’র কথা বলি—এরা নিজেদের লাইফস্টাইল রক্ষা করার জন্য এই দেশের প্রত্যেকটা ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করেছে। এমন কোনো দুর্নীতি নেই, এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যেটা এরা করবে না। এবং সেই সাথে এরা হলো অত্যন্ত অযোগ্য।
- আমাদের প্রজন্ম, মানে চতুর্থ প্রজন্ম তুলনামূলকভাবে প্রত্যেকের মাশাল্লাহ তিনটি পিএইচডি আছে ঘৃণাবিদ্যার উপর। তাই আমাদের প্রজন্ম হলো পাছার মতো দ্বিখন্ডিত তরমুজের ১০০ টা বিচির মধ্যে কোন বিচিটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আর কোন বিচিটা জামাত-শিবির করে—এটাও আমরা বের করে ফেলব, কোনো ব্যাপারই না। আমাদের ক্ষমতায় যেতে দিন, আর লুটপাট কাকে বলে, এই সংজ্ঞা আমরা বদলে দেব। **Just wait**।
- যদি মনে করে থাকেন যে আমাদের এই দুই প্রজন্মের অভিজ্ঞতা আপনারা জাতি গঠনের কাজে লাগাবেন, তাহলে আপনি অভিজ্ঞ চুতিয়া হবেন, গ্যারান্টি! **In fact**, এই দেশকে রক্ষা করার যে একটি মাত্র রাস্তা খোলা আছে, সেটা হলো আমাদের সাথে ৫০০ ফুট উঁচু একটা দেয়াল তৈরি করা। আপনাদেরকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে বাংলাদেশকে ইমাজিন করতে হবে, এবং এই কাজটা করতে হবে আমাদের এই চার জেনারেশনকে বাদ দিয়ে।
- একটা সভ্য বাংলাদেশ তৈরি করার একমাত্র রাস্তা হলো আমাদের থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাওয়া। আপনাদেরকে আসমানি কিতাবের মতো বিশ্বাস করতে হবে যে আপনারা এতিম। এতিম, কারণ আপনাদের বাবারা আপনাদের জন্য কিছুই রেখে যাননি, এবং যা করার আপনাদেরকেই করতে হবে। হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে যেসব বুলশিট আপনাদেরকে শোনানো হয়, এইসব আপনাদেরকে বর্জন করতে হবে মনেপ্রাণে।
- এই চারটি অথর্ব জেনারেশন নিজেদের ও নিজ গোষ্ঠীর সুবিধা ম্যাক্সিমাইজ করার জন্য প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় সুবিধার অপব্যবহার করেছে। আমাদের প্রথম ও প্রধান চিন্তা হলো কিভাবে রুল অফ ল পাশ কাটানো যায়, নিজেদের গোষ্ঠীর সুবিধা হাসিল করার জন্য। প্রতিটি জেনারেশন জেনে-শুনে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ইতিহাস হিসেবে—বিএনপি বলেন কিংবা আওয়ামী লীগ, দুটো দলই দেশের স্বার্থের উপর নিজেদের দলের স্বার্থ দেখেছে।
- মোটের উপর, এই প্রত্যেকটি জেনারেশন ছিল চরম স্বার্থপর, অলস, এবং অযোগ্য। তারা ওয়েস্ট থেকে শুধুমাত্র দেখুন আমদানি করেছে, কোনো ওয়ার্ক এথিক্স বা ভ্যালুস স্থাপন করতে পারেনি এবং চায়ওনি। এরা সবসময় অল্প দিয়ে বেশি নিতে চেয়েছে। আদর্শের দোহাই দিয়ে সেকেন্ড জেনারেশনের তালেবদের কাছে সত্যের মূল্য ছিল গুলশান কিংবা উত্তরার একটা প্লট। একটা প্লট দেন কিংবা কোনো দূতাবাসের একটা চাকরি, সে বলবে—"হে মানুষ কন্যা, রাত কেটে যাচ্ছে, অন্ধকার কেটে যাচ্ছে, হে মানুষ কন্যা, হ্যান কন্যা, তেন কন্যা।"
- এসব করতে করতে, এই জোকাররা দিনে রাতে তিনবার **ogaz** মতো আর থার্ড জেনারেশনের তালেবদের কাছে ভালো লাগে একটা লুক্রেটিভ গভর্নমেন্ট ডিল। **Trust me on this**, আমাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করলে আপনাদের আমছা সব যাবে। আপনাদের মূল কাজ হলো আমাদের থেকে আলাদা হওয়া, বাংলাদেশের টক্সিক ন্যারেটিভ এবং ইতানিপূর্ণ **zeitgeist** থেকে বিচ্যুত হওয়া।
- কেন এই কাজটা এত গুরুত্বপূর্ণ? আধুনিককালে, দুনিয়াব্যাপী বেশিরভাগ মানুষ সংখ্যার ভিত্তিতে জাতি রাষ্ট্রের ন্যায্যতা কল্পনা করে। মানে, আর্বিটরিলি একটা নাম্বার থাকে মনে—কোন একটা জাতির যদি একটা ভাষা থাকে এবং, **let's say**, তারা যদি সংখ্যায় পাঁচ-ছয় কোটি হয়, আমরা ধরে নেই যে এই জাতিটা একটি রাষ্ট্র হওয়া উচিত। সাবকনশাসলি আমরা এভাবেই সিদ্ধান্তে আসি। দেখুন, রাষ্ট্র হওয়ার সাথে জনসংখ্যা বা জাতিভাষার কোনো সম্পর্কই আমি দেখতে পাই না।
- সো, আপনার আপনার সংখ্যায় ১৫ কোটি—মূল প্রশ্ন হলো, আপনি একটি **polity** কিনা, সেটাই আসল। প্রশ্ন হলো, আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার জনগোষ্ঠী পলিটি কিনা? আমার কাছে উত্তর খুবই সিম্পল: নিজেদের গভর্ন করার জন্য বা নিজেদের সুবিধার জন্য, আপনারা লিগাল ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে গিয়ে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারেন কিনা। যেমন ধরুন, আপনার শার্টের সাইজ **স্মল**। এর মানে হলো আপনার গলার সাইজ, রাফলি স্পিকিং, ৩৭-৩৮ সেন্টিমিটার।
- আমি জানি না, কোন এক সময়, আই গেস, অনেকে মিলে ঠিক করেছিল যে সাইজের গলা যায়, সেই শার্টকে আমরা বলব **স্মল**, রাইট? আর কেউ কি আপনার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেছে যে, "তুই এই শার্টকে স্মল বলবি?" বলেনি, তাই না? এমনও তো হতে পারে, শার্টের ক্ষেত্রে গলার মাপ না বরং শোল্ডারের মাপ দিয়ে স্মল, মিডিয়াম, লার্জ এই ক্লাসিফিকেশন অনেক সুবিধাজনক হতো। আমি টেইলার না, হতে পারে তো, নাকি?
- তাহলে, কেন মানুষ এই কাজটা করে না? কারণ, এক্সিস্টিং ক্লাসিফিকেশন কাজে দেয় এবং এটা মেনে নেওয়াই সুবিধাজনক। প্রশ্নটা ঠিক বেঠিক না—আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য একটা জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্টে পৌঁছাতে পারছি নাকি পারছি না। আপনার মনে হতে পারে, "এটা এমন কি?" এটা মোটেও সামান্য বিষয় না।
- কোনো ধরনের লিগাল ওভারসাইটের বাইরে থেকে একটা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা এবং সবাই স্বেচ্ছায় এই স্ট্যান্ডার্ড মেনে নিচ্ছে, এটা যেকোনো জনগোষ্ঠীর জন্য রিমার্কেবল ঘটনা। স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করার এই ক্ষমতা ইন্ডিকেট করে যে ওই জনগোষ্ঠী নিজেদের সমস্যা নিজেরা সলভ করতে পারে কি পারে না। তারা কতটুকু ম্যাচিউর?
- কালেক্টিভলি বাঙালিকে আপনি ঐক্যমতে পৌঁছাতে বলেন, সে খুব কায়দা করে মিটিং করবে, ঘন্টার পর ঘন্টা প্যাঁচাল পারবে। মোস্ট সবাই মাথা নিচু করে মেনে নেবে। আপনার মনে হবে, "আমরা তো সেন্সে পৌঁছে গেছি!" কিন্তু না, **You are a fool**! মিটিং থেকে বের হয়ে দুই মিনিটের মধ্যে বাঙালি বলবে, "দেখছেন ভাই, আমাদের কথার কোনো দামই দিল না! যেন আমরা কোনো মানুষই না! যেন আমরা নোয়াখালী থেকে আসা দুইটা কলাগাছ।"
- তারপর শুরু হবে চোখ লাল, বোঝাই আর ষড়যন্ত্র। বাঙালি কোনো জায়গায় কোনো স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারে না এবং কখনোই বিগ পিকচারটা দেখতে পায় না। সে প্রচণ্ড ইনসিকিউর, প্রতি মুহূর্তে তার ইজ্জত চলে যায়। প্রবল তিন ইঞ্চি বোধের কারণে সে কখনোই **dude** হতে পারে না। গ্রুপ ইন্টারেস্টকে ম্যাক্সিমাইজ করার জন্য যে ব্যক্তির ইন্টারেস্টকে ইগনোর করতে হয়, এই কনসেপ্টটাই সে বোঝে না।
- বাঙালি কোনো পলিটি না। তার একটা রাষ্ট্র আছে, কিন্তু সে কোনো পলিটি না। দেখুন, সুপারম্যানের একটা জাঙ্গিয়া আছে এবং আপনি জানেন যে সেটা লাল। কিন্তু আপনি এও জানেন যে এই জাঙ্গিয়ার কোনো ইউটিলিটি নেই। আপনাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত এই জনগোষ্ঠীকে একটা পলিটি বানানো।
- আপনারা সোশ্যাল লিবারিলিজমের রাস্তায় হাঁটবেন, লিবার্টেরিয়ানিজমের রাস্তায় হাঁটবেন না। ইসলামের রাস্তায় হেঁটে একটা সভ্য বাংলাদেশ নির্মাণ করবেন—সেটা আপনাদের সংগ্রাম। এই খোঁজ আপনাদের নিজেদেরকেই বের করতে হবে। **I’m not interested in your method**। কিন্তু যে রাস্তাতেই আপনারা হাঁটেন, দুটো বিষয় আপনাদের এনসিওর করতে হবে—রুল অফ ল এবং মেরিটোক্রেসি।
- দেখুন, মানুষ এমন একটা প্রাণী যে সমাজে হায়ারার্কি তৈরি করবে। আপনি রসূলের মদিনায় গেলেও হায়ারার্কি পাবেন। সবার উপরে রসূল, তারপর সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন, তারপর মক্কার সাহাবী—এইসব।
- তাই, যে সমাজেই যান, হায়ারার্কি আছে। কিভাবে হায়ারার্কি তৈরি হবে? **Believe me**, এই ক্ষেত্রে আপনি নতুন কোনো সিস্টেম আবিষ্কার করতে পারবেন না।
- আপনার মাথায় যাই আসুক, কখনো না কখনো কোথাও না কোথাও সেটা ট্রাই করা হয়েছে। যেমন ধরুন, রাজতন্ত্র—রাজার ছেলে রাজা। আবার ধরুন, নেপোটিজম। দেখেন যে আওলাদে শেখ মুজিবের কতজন সংসদে পাশ ছেড়ে ফেলেছে। মাশাল্লাহ, অত্যন্ত গণতন্ত্র থাকে, হয় আর কি! হিন্দুদের কাস্ট সিস্টেম, অটোম্যানদের জানিসারি, মিডিল ইউরোপের ফিউডালিজম—এই সবই সোশ্যাল হায়ারার্কি। আপনি চান বা না চান, সোশ্যাল হায়ারার্কি তৈরি হবে, এবং যেকোনো হায়ারার্কির মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এই সিস্টেমে মাত্র কয়েকজন উইনার থাকবে, এবং অধিকাংশই হবে তুলনামূলকভাবে লুজার।
- এখন আমি বলছি না যে কম্পিটেন্স বেসড মেরিটোক্রেসি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হায়ারার্কিক্যাল সিস্টেম, কিন্তু মেরিটোক্রেসি হলো একমাত্র হায়ারার্কিক্যাল সিস্টেম যেখানে লুজার মনে করে যে সে ইনসাফ পেয়েছে। ট্রু মেরিটোক্রেসিতেই শুধু লুজার একটা ক্লোজার পায়। মেরিটোক্রেসি কাম্য এজন্য না যে মেরিটোক্রেসি ফ্ললেস; মেরিটোক্রেসি কাম্য কারণ অন্যান্য প্রত্যেকটা হায়ারার্কিক্যাল সিস্টেম বিভৎস এবং লং রানে আনটেনেবল।
- ৩০০০ বছরে হিন্দু সমাজ কাস্ট সিস্টেম থেকে বের হতে পারেনি। ৩০০০ বছর রুল অফ ল না থাকলে, আপনি কোনোদিনও মেরিটোক্রেসি পাবেন না। গ্রামের একটা ছেলেকে ওপরে ওঠার সুযোগ দিতে হবে। সোশ্যাল আপওয়ার্ড মোবিলিটি একটা জীবন্ত সমাজের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশকে আপনি যতই সমালোচনা করেন, গত ৩০ বছরে আমাদের দেশে সোশ্যাল আপওয়ার্ড মোবিলিটি ছিল, এবং আমরা এর অনেক সুবিধা ভোগ করেছি।
- সত্যি কথা সরি টু সে, আপনারা আমাদের মতো এই সুবিধাটা পাবেন না। বাংলাদেশে দ্রুততার সাথে সোশ্যাল স্ট্রাটিফিকেশন ঘটছে, এবং আপনারা আমাদের বয়সে আসলে দেখবেন যে সোশ্যাল আপওয়ার্ড মোবিলিটির সব সুযোগ বন্ধ হয়ে আসছে। এই ঘটনাটা ঘটবে—লিখে রাখতে পারেন।
- এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে আপনারা যদি মুক্তি চান, এজ এ গ্রুপ আপনাদের সবার মেরিটোক্রেসি ও রুল অফ ল'র উপর ঈমান আনতে হবে। দয়া করে মনে রাখবেন যে চালাকি করে বেশিদূর যেতে পারবেন না। ওয়ার্ক সব জায়গায় চালাকি করে ওস্তাদ বাঙালি কোথায় এসেছে, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। আমাদের যে ন্যাশনাল ন্যারেটিভ, তার প্রতিটা লাইন লেখা হয়েছে মিথ্যা, না এম্বলিশমেন্ট।
- এসব বুলশিট যেখানেই শুনবেন, ডাস্ট মেরে ফেলবেন। এই জাতির ঐতিহ্য আপনারা নিজেরা তৈরি করবেন, নিজেদের মতো করে। নিজেদের এতিম মনে করবেন, এতিম হওয়ার সুবিধাও অনেক। স্কাই ইজ দা লিমিট।
- আপনারা যখন দেশের কথা চিন্তা করবেন, ভুলেও জিডিপি আর উঁচু বিল্ডিং বানানোকে আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ বানাবেন না। গত ৩০ বছর আমরা এই রাস্তাতেই ছিলাম। কী সর্বনাশ আমরা করেছি, আশা করি বুঝতে পারছেন। মঞ্জিলে মকসুদ বানাবেন ন্যায়বিচার, ইনসাফ। আপনারা যদি এই রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, অর্থনৈতিক উন্নতি এমনিতেই হবে।
- ইনসাফ একটা স্বপ্ন, একটা আইডিয়া। এই স্বপ্ন যদি আপনারা সবাই না দেখেন, সবাই যদি এই স্বপ্নের সামনে নিজের ইগোর জলাঞ্জলি দিতে না পারেন, নিশ্চিত থাকবেন—আপনাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড়, সে আপনাদের রোল করবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, আপনাদের ভবিষ্যৎ, আমার আশঙ্কার চাইতে অন্তত সামান্য কম ভয়ঙ্কর হোক—এই কামনা করি।
Add Comment
Please, Sign In to add comment