Advertisement
DBP625

21 August Granade Attack Hidden Truth

Dec 31st, 2024 (edited)
28
0
Never
Not a member of Pastebin yet? Sign Up, it unlocks many cool features!
text 13.90 KB | None | 0 0
  1. 21শে আগস্ট 2004 বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার এক সফল অভিযানের নাম 21শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা। এই হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে দুই শিবিরে বিভক্ত করে দেয়া হয়। শুরু হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। সরকারকে বাংলার জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজনের সীমারেখা টেনে দিয়ে কার লাভ আর কার ক্ষতি, সেই হিসেব করলেই বেরিয়ে যাবে কারা ঘটিয়েছিল নিঃশংসতম সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
  2.  
  3. 2004 সালের 21শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় মোট 24 জন নিহত হয়। নিহতের পর বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম এবং আওয়ামী লীগের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বিষয়টা ঠিক এরকম দাঁড়ায়। “যখন আমি গাড়িতে উঠছি, তখন গাড়িতে গুলি” মানে, “ওরা কোনভাবেই মানে, যাতে স্কেপ করতে না পারে।” শেখ হাসিনা এবং কিছু গণমাধ্যমের বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই চালানো হয়েছিল এই হামলা। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে মারতে এতটাই বদ্ধ পরিকর ছিল যে শেখ হাসিনা নিজেকে বাঁচানোর জন্য যখন দৌড়ে গাড়িতে উঠছিলেন, তখনও তার উপর গুলি চালানো হয়েছিল।
  4.  
  5. যেই গুলির দাগ তার ব্যবহৃত মার্সিডিজ গাড়িতে লেগে থাকার দাবিও করেছিল আওয়ামী লীগ। ভাগ্যক্রমে হাসিনাকে মারতে না পারলেও হাসিনার লোকজনের উপর চরম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এমনকি লাশ নিতেও নাকি বাধা দিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার। তারা ধর্মের কথা বলে অথচ আজকে লাশগুলি তারা দিচ্ছে না জানাজা পড়তে। বিএনপি-জামাত সরকার নাকি এতটাই নিঃশংস ছিল যে আহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে হাসপাতালের চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে বাধা দিয়েছিল।
  6.  
  7. এই গ্রেনেড কোথা থেকে এলো, কিভাবে ফুটলো, এবং এই জিনিসগুলি বিশেষভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। এর বাইরেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলাতেও ‘জজ মিয়া নাটক’ সাজানোর চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। ‘21শে আগস্টের হামলা ফুটেজ দেখাইছে। তুই যদি এভাবে স্বীকার না দেস, মার্ডার কেসের মামলা দেখাইয়া তোরে আমরা খরচ ছয় দিয়া দিব।” এতক্ষণ ধরে 21শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে যে বর্ণনা শুনছিলেন, তা হলো আওয়ামী লীগ, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ফাতজানার রূপাদের বয়ান।
  8.  
  9. সম্প্রতি এই মামলার সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারেক রহমান, লুতফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপির সবাইকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে এই হামলা কারা করেছিল? 15 মিনিটের আজকের অনুসন্ধান একে একে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল, সেটা জানার আগে শেখ হাসিনা কিভাবে সেই হামলা থেকে বেঁচে গেলেন, সেটা দেখা যাক।
  10.  
  11. শুধু শেখ হাসিনা নয়, ওই হামলাতে আসলে আওয়ামী লীগের কোনো কেন্দ্রীয় নেতাই মারা যাননি। এমনকি হামলার পরিকল্পনা এমন ভাবেই করা হয়েছিল যাতে শেখ হাসিনার শরীরে ছোট্ট একটা আঘাতও না লাগে। উনার ভিতরের কানে ইনজুরি হয়েছে, যার জন্য উনি এখন কানে কম শুনছেন। মূলত শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের যে কিছু হবে না, সেটা আগেই গ্যারান্টি দেয়া হয়েছিল। তবে ওই হামলায় শুধু একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল, যার নাম আইভি রহমান।
  12.  
  13. আইভি রহমানকে নিয়ে হাসপাতালে যখন এইরকম অবস্থা, এই জায়গায় রক্তাক্ত সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করল। আইভি রহমান সম্পর্কে দক্ষ অভিনেত্রী শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে যে মায়া কান্না করে থাকেন, সেটা আসলে তার মনের কান্না নয়। মতিউর রহমান রেন্টু লিখেছেন, 1981 সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর জিল্লুর রহমান তার স্ত্রী আইভি রহমানকে নিয়ে শেখ হাসিনাকে দেখতে গিয়েছিলেন। আইভিকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন শেখ হাসিনা। হাসিনা আইভিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “আমার মাকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দেননি, এখন আবার কেন এসেছেন?”
  14.  
  15. সময় জিল্লুর রহমান চোখ টিপে আইভি রহমানকে চলে যেতে বললে, আইভি রহমান সেখান থেকে সরে যান। মূল ঘটনা হলো শেখ হাসিনার মা ফজিলাতুন্ন নেসা আইভি রহমানের সাথে শেখ মুজিবকে সন্দেহ করতেন। যে বিষয়টি নিয়ে মাঝেমধ্যেই পরিবারে ঝগড়াঝাঁটিও হতো। কিন্তু এত কিছুর পরও শেখ মুজিবের সবসময় আইভি রহমানের প্রতি ছিল একটা বিশেষ ভালোবাসার দৃষ্টি।
  16.  
  17. অনেকেই বলে থাকেন, আইভি রহমানকে খুশি করতে 1969 সালে শেখ মুজিব যুব মহিলা লীগ নামের নতুন আওয়ামী লীগের শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে কারণে আইভি রহমানের মতো আনারই একজন রাজনীতিবিদকে প্রথম কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদ দিয়ে নুরজাহান মোরশেদদের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের পাশে বসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যে বিষয়টা ওই সময়ের অনেক রাজনীতিবিদের চোখেই দৃষ্টিকটু মনে হয়েছিল। যে কারণে আইভি রহমানের মৃত্যুতে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছিলেন শেখ হাসিনা।
  18.  
  19. কত নিখুঁতভাবে ভয়ঙ্কর এই হামলার চক্রান্ত সাজানো হয়েছিল, সেটা পরিষ্কার করতে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার ওই দিনের কয়েকটি কর্মকাণ্ড দেখলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্ধ্যের তালিকায় প্রথমেই মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশের জায়গা পরিবর্তন। মুক্তাঙ্গনের যেই জায়গায় সমাবেশ ডাকা হয়েছিল, তার দুদিকে খোলা রাস্তা। একদিকে জিপিও, অদূরে সচিবালয় অবস্থিত। মুক্তাঙ্গনে সমাবেশকালে গ্রেনেড হামলার জন্য সুবিধামত ভবনে অবস্থান করা সম্ভব হতো না। যে কারণে পুলিশের কাছে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েও সমাবেশে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে হঠাৎ করে নেতাকর্মীদেরকে জানানো হয়, মুক্তাঙ্গনে নির্ধারিত সমাবেশটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
  20.  
  21. প্রশ্ন আসতে পারে, আওয়ামী লীগ তো আগেই জানতো মুক্তাঙ্গনের আশপাশে কোনো বড় ভবন নেই। তাহলে তারা কেন আগে থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি? এর কারণ পুলিশ যদি আগে থেকেই জানতো যে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, তাহলে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারতো। কিন্তু পুলিশ যতক্ষণে দেখলো নেতাকর্মীরা সবাই মুক্তাঙ্গন খালি করে দলীয় কার্যালয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছেন, ততক্ষণে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সময় শেষ হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন নিরাপত্তা নিশ্চিতের সুযোগ না পায়, এটাই ছিল তৎক্ষণিক স্থান পরিবর্তনের মূল কারণ।
  22.  
  23. আওয়ামী লীগের 21শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয় ওই দিনের জনসভায়, যেখানে পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা ব্যাহত হয়েছিল। ঘটনাটিকে আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হলে সেই দিনের প্রতিটি ধাপের কার্যক্রম নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান প্রয়োজন।
Advertisement
Add Comment
Please, Sign In to add comment
Advertisement