Advertisement
Not a member of Pastebin yet?
Sign Up,
it unlocks many cool features!
- নিচে দেওয়া পাঠ্যটি যতিচিহ্ন ব্যবহার করে পুনরায় লেখা হয়েছে, কোনো শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন না করে:
- > দর্শকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম! আমার নাম জেকেব মিল্টন। দেশের ইম্পর্টেন্ট কয়েকটা ইস্যু নিয়ে আমি চেষ্টা করেছি বেশ কিছু জ্ঞানীগুণী মানুষদের সাথে বসে কথা বলার। এজন্য দুইটা বিষয় আমি আলোকপাত করতে চেয়েছি—বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মিথ্যাচারিতার প্র্যাকটিসের মধ্যে আমি কিছু কিছু সত্যকে টেনে আনতে চাচ্ছি বলেই এই বিষয়টার উপরে আমি আলোকপাত করতে চাচ্ছি। বিষয়টা কি ইম্পর্টেন্ট আমাদের ব্যক্তি জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, সামাজিক জীবনে? বাংলাদেশে না! কিন্তু তারপরেও আমি বিষয়টার উপরে কেন আলোকপাত করতে চাচ্ছি, একটা কারণে। সেটা হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার এই এলিমেন্টস গুলোকে ব্যবহার করে তাদের একটা এনটাইটেলমেন্ট, তারা সমাজে, রাজনৈতিক জীবনে তারা প্রকাশ করার চেষ্টা করে। এবং এটার উপরে তারা তাদের ক্ষমতাটাকে কুক্ষিগত করার জন্য এই এলিমেন্টস গুলোকে তারা ব্যবহার করে।
- >যেমন, আমি আপনাদেরকে কথায় কথায় বলি—বেশ কিছুদিন যাবত, স্পেশালি গত আট-দশ বছরে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে তার মেয়ে হাসিনা এবং তার নাতি, আশেপাশের লোকজন গত ১০ থেকে ১৫ বছরের সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ৫০টা বই লিখিয়েছে লোকজনদেরকে দিয়ে। যেগুলোর ভুয়া ইনফরমেশন তারা তৈরি করেছে নিজেরাই; ফ্যাব্রিকেটেড একটা স্টোরি তৈরি করেছে। এই ফ্যাব্রিকেটেড স্টোরির উপরে বেস করে তারা কি করেছে? শেখ মুজিবের নামে তারা ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করেছে। শেখ মুজিবের বাবার নামে তারা ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করেছে। তারা তাদেরকে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহির বংশধর বানিয়েছে! তারা শেখ মুজিবকে আমাদের রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে ফাতিমার বংশধরে তৈরি করার একটা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত।
- > এখন কষ্টের কথা কি? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, সরি, আরেকটা কথা আমি অ্যাড করতে চাই, এটা না বললেই না—হাসিনা শেখ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের লোকজনরা বলার চেষ্টা করছে যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব নাকি অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ভাষা আন্দোলনের সাকসেসের পিছনে মুজিবের অবদান ছিল। বিষয়টাকে এভাবে ব্যাখ্যা করা হয়! এখন তাইলে দুইটা সাবজেক্ট দাঁড়ায়—শেখ মুজিব কি আসলে কোন পীরের, বা ধর্ম প্রচার করতে এসেছে? শেখ আব্দুল আউয়াল দরবেশ উনার বংশধর? বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত রিলেভেন্ট মনে হয়েছে কারণ এ বিষয়টাকে তারা যেভাবে এখন প্রচার করছে, মনে হচ্ছে উনি বোধহয় জীবিত কোন পীর ছিলেন, উনি যখন বাংলাদেশে তার পদক ধুলি পড়েছে বাংলাদেশে! বিষয়টা আমার কাছে কন্ট্রোভার্সিয়াল; বিষয়টা আমার কাছে ফ্যাব্রিকেটেড মনে হয়েছে, যার জন্য এটা নিয়ে আমি ইনভেস্টিগেট করেছি, ডানে-বায়ে লোকজনদের সাথে কথা বলেছি, চেষ্টা করেছি বিষয়টাকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার জন্য।
- > আরেকটা বিষয়কে উনারা যখন গুরুত্ব দিয়েছে, হাসিনা শেখ প্রায় বলে থাকেন—ভাষা আন্দোলনও নাকি তার বাবার আমলে হয়েছে! তো টোটাল সাবজেক্টটা নিয়ে আমাদের কথা বলার জন্য আমি আশেপাশে অনেক লোকজনরাই বাংলাদেশের এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার মত সাহস তারা এখন রাখে না! তো বাংলাদেশে বসে কোন লোক যদি এই কথা বলে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে তাকে এ ব্লিংক অফ এ সেকেন্ড গুম করে দেবে অথবা মেরে ফেলবে! তো আমি খুঁজে পেয়েছি এক ভদ্রলোককে, যার বাড়ি গোপালগঞ্জে। উনি ৭০ এর মাঝামাঝি, ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময় কোন একটা সময় উনি বাংলাদেশ ছেড়ে ক্যালকাটায় চলে গিয়েছেন। কিন্তু শেখ মুজিবের ফ্যামিলিটাকে উনি চিনতেন; উনার বাবা চিনতেন, উনার দাদা চিনতেন। তো এই ভদ্রলোক একজন শিক্ষিত মানুষ, আমার মনে হয়েছে—উনাকে আমরা যদি একটু আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ পাই, উনার ক্রেডেনশিয়াল যথেষ্ট আছে।
- > আমি উনার ক্রেডেনশিয়াল নিয়ে এখন কথা বলবো না, দর্শক মন্ডলী! আমি যখন আপনাদের সামনে ভদ্রলোককে নিয়ে আসবো, উনার ক্রেডেনশিয়াল নিয়ে আমি উনার সাথে কথাবার্তা বলবো। আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন আরেকজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। উনি কুমিল্লার কৃতিসন্তান; উনি কুমিল্লায় লেখাপড়া করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। উনি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে অনেক সময় লেখালেখি করেন—সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মিডিয়ায় গিয়ে উনি যতটুকু জানেন তা জনগণকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করেন। তো আমি এই দুই ভদ্রলোককে আমন্ত্রণ জানাতে চাই আমাদের দর্শকদের সাথে পরিচয় করাতে।
- > আসুন, আমরা পরিচিত হই এই দুই ভদ্রলোকের সাথে। আমি প্রথম পরিচিত হতে চাই মোহাম্মদ ইসলামের সাথে। ইসলাম সাহেব, আপনি যদি আপনার সম্পর্কে একটু বলেন—আমি যতটুকু জানি, আপনি ১৯৬৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেছেন, সত্যি! এবং ১৯৭০ সালে আপনি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছেন, একেবারেই সত্যি! এবং আপনি ৭২ সালের ডিগ্রির ব্যাচ, কিন্তু আপনি পরীক্ষাটা দিয়েছেন ১৯৭৩ তে; ঢাকা ইউনিভার্সিটির আন্ডারে আপনি গ্রাজুয়েশন করেছেন, সম্পূর্ণ সত্যি!
- > এবং আপনি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক; আপনি ইন্ডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ট্রেনিং নিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার নেতৃত্বে একটা ট্রেনিং ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল আগরতলার কাঁঠালিয়া নামক একটা জায়গায়। আমি সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা লিডার। এবং বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, আপনি আপনার আশেপাশে কারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ ধীরে ধীরে সংঘটিত হয়েছে, একজন শিক্ষিত মানুষ হিসাবে, একজন সচেতন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনার অনেক কিছুই আপনি প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাক্ষী। এবং আপনি নিজের চোখে অনেক কিছু দেখেছেন; অনেক মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষীর সাথে কথাবার্তা বলার সুযোগ আপনার হয়েছে।
- > দেখুন, আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ করার জন্য। মেজর সাফায়েদ জামিল আমাকে একটা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠিয়েছিলেন চান্দিনায়। আমি চান্দিনা আসার পরে, আপনার গেরিলা যুদ্ধের একজন ডেপুটি কমান্ডার, তার নাম আব্দুস সামাদ মোল্লা, গ্রাম মুরাদনগর থানার গ্রামে। সে ছিল দুই নম্বর সেক্টরের মেজর হায়দারের অধীনে। মেজর হায়দার থেকে তার একটা অ্যাসাইনমেন্ট ছিল—কিছু ওয়ারলেস, কিছু কালবার্ট, কিছু ব্রিজ ভাঙ্গার। সেই অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যখন সে বাংলাদেশে ঢুকে, তখন সে আমাকে খুঁজে বের করে। তখন সে আমাকে পিক করে। আমাকে সে আর ভারতে যেতে দেয়নি; আমি তার সাথে কেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাই।
- > এখন আমরা একটু ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাসের সাথে পরিচিত হই। ডক্টর বিশ্বাস, ওয়েলকাম টু দ্যা শো! আমি খুব কৃতজ্ঞ যে ভারতীয় সময় এই মুহূর্তে বোধহয় আপনার সাড়ে দশটা বাজে। আপনি আপনার সম্পর্কে আমাদের জানার একটু আগ্রহ তৈরি করেছেন। আমি জানি আপনি বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে ম্যাট্রিক পাশ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পরে, আপনি এক্সাক্টলি ইন্ডিয়ায় গেছেন কোন সালে? "১৯৭৫, ১৭ জুলাই।" ওকে, ইন্ডিয়া যাওয়ার পরে আপনি ইন্টারমিডিয়েট করেছেন? "ইন্টারমিডিয়েট করেছি।" ইন্টারমিডিয়েটের পরে আপনি বিএসসি পাশ করেছেন? "হ্যাঁ, বিএসসি পাশ করেছি।" তারপরে আপনি ডিএমএ করেছেন, যেটা হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিসের জন্য ডাক্তারি এডুকেশন; আপনি সেটা কমপ্লিট করেছেন? "হ্যাঁ, কমপ্লিট করেছি।" এবং আপনি হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস করছেন। পাশাপাশি আপনি কিছু লেখালেখি করেন এবং সচেতন একজন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মানুষ হিসাবে লোকজনকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি অ্যাক্টিভ থাকেন? "অবশ্যই।"
- > ওকে, আমাকে আমি একটু জানতে চাচ্ছি—বাংলাদেশের এক্সাক্টলি আপনার ওই সময় যা মনে আছে, আপনার গ্রাম, থানা, জেলা সম্পর্কে কি আপনি একটু বলবেন? "বাংলাদেশে আমার জন্ম দেবাসুর গ্রামে। এই গ্রামটা কাশিয়ারী থানার অধীন ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটা চলে গেছে রামদিয়া থানায়। আর তখন ডিস্ট্রিক্ট ছিল ফরিদপুর এবং ছিল গোপালগঞ্জ; এখন আমরা গোপালগঞ্জ ডিস্ট্রিক্টের অধীনে আছি।" আচ্ছা, আপনার যে গ্রামে আপনি ছিলেন, ওই গ্রামটার নাম এখন কী? "দেবাসুর ছিল গ্রাম, আচ্ছা।" এই গ্রামটা এখন কোন থানার মধ্যে পড়ছে, আপনার কি ধারণা আছে? "গোপালগঞ্জের মধ্যে অথবা টুঙ্গিপাড়ার মধ্যে?" "না, এই থানাটা এইদিয়া রামদিয়া থানার অধীনে পড়ছে।"
- > আচ্ছা, এখন আমি যে সাবজেক্ট এটা জানতে চাচ্ছি—আপনার ১৯৭৫ সালে আপনি দেশ ছেড়েছেন, আপনার কি ওই সময় আপনি এডাল্ট ছিলেন? আপনি ম্যাট্রিক পাশ করেছেন, আপনার ধ্যান-ধারণা সবকিছুই ক্লিয়ার ছিল? "অবশ্যই, এমন না যে আপনি সবকিছু ভুলে গেছেন।" এমন তো আর না? "না না, ওকে।" আচ্ছা, আপনার বাবার নাম কি ছিল, আপনি যদি আমাদের সাথে শেয়ার করেন? "আমার বাবা মৃত কৃষ্ণপ্রসাদ বিশ্বাস।" আপনার দাদার নাম মনে আছে আপনার? "হ্যাঁ, পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস।" ওকে, তো আপনি আপনার জীবদ্দশায়, আপনার সুযোগ হয়েছে আপনার বাবার সাথে, আপনার দাদুর সাথে আপনার কথা হয়েছে পারিপার্শ্বিকতাকে নিয়ে? আমরা কি এটা ধরে নেব যে, আপনি আপনার বাবা এবং দাদা এদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়েছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে? "অবশ্যই।"
- > ওকে, আমার বাবা তো সেদিন মারা গেছেন, আমার দাদুও মানে আমার দাদাও বেশিদিন আগে মারা যাননি। আমার বাবা তো ২০০৮ সালে মারা গেছেন। আপনার দাদা মারা গেছেন কোথায়—ইন্ডিয়াতে না বাংলাদেশে? "না, বাংলাদেশে।" আমার বাবাও বাংলাদেশে মারা গেছেন? "আচ্ছা।" উনাদের কি সৎকার বাংলাদেশেই করা হয়েছে? "হ্যাঁ, বাংলাদেশেই করা হয়েছে।" ওকে, আপনি কি বাংলাদেশে এখন যান এমনে বেড়াতে? আত্মীয়-স্বজন আছে বাংলাদেশে? "আমি বেড়াতে যাই, কিন্তু আমার এই বইটা লেখার পরে আর আমি যাইনি, কারণ ওখান থেকে আমার প্রচুর খুনের হুমকি আসছিল।" অর্থাৎ ওই বইটা লেখার পরে, আপনি একটা বই লিখেছেন; যে বইটার নাম 'শেখ মুজিব বাংলাদেশ'। ওকে, তো এই বইটা লেখার পরে আপনাকে অনেকে থ্রেড দিয়েছে? "আচ্ছা।"
- > ওকে, তো এখন একটা বিষয় আমি আপনার কাছ থেকে জানতে চাইবো—আমি শো এর আগে আপনার সাথে কিছু সময় আমি কথা বলেছি। একটা বিষয় আমাকে বলেন—আপনি আমাকে বলেছিলেন শো এর আগে, আপনার দাদা উনার নামটা আবার একটু বলবেন? "আমার দাদার নাম পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস, মৃত পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস।" উনি আপনি আমাকে বলেছেন—উনি সরাসরি শেখ মুজিবের বাবা লুতফুর রহমানকে চিনতেন? "হ্যাঁ, অবশ্যই।"
- > উনি আমাকে বলেছেন যে লালমিয়া উনার ডাক নাম ছিল। লালমিয়া এবং আমার দাদা যিনি, তার সঙ্গে উনার একটা সম্পর্ক ছিল। কমবেশি সম্পর্ক ছিল। অর্থাৎ, আপনার দাদা লুতফুর রহমানকেও চিনতেন—শেখ মুজিবের বাবা। শেখ মুজিবের বাবার ডাক নাম ছিল লাল মিয়া, যেটা আপনি এইমাত্র বললেন। এবং লুতফুর রহমানের বাবার নাম ছিল শেখ আব্দুল হামিদ। আপনি আমাকে শো এর আগে বলেছেন, আপনার দাদু শেখ আব্দুল হামিদকে চিনতেন। এখন, আপনার দাদু শেখ আব্দুল হামিদ কেও চিনতেন। আপনার দাদু শেখ আব্দুল হামিদ এবং লুতফুর রহমান এদের সম্পর্কে কি বলেছিলেন?
- > আমার দাদু পরিষ্কারভাবে আমাদের বলেছে যে—দেখুন, একটু ঘটনা এখানে বলা দরকার। কারণ কেন কথাটা উঠলো, সেটাই শুধু বলছি। ১৯৭০ সালে, যখন মানে ইলেকশন হবে, সেই সময়টা বাংলাদেশে ‘জাতীয় গণমুক্তি দল’ বলে একটা দল তৈরি হয়েছিল। যেটা দলটা হিন্দুরা তৈরি করেছিলেন, যার প্রতীক ছিল মোমবাতি। সেই হিন্দু নেতারা যখন বিভিন্ন হিন্দু এলাকায় বেরিয়ে পড়লেন যে "তোমরা এবার আমরা হিন্দু প্রার্থী দেব, তোমরা হিন্দুদেরই ভোট দেবে," তখন আমার দাদা খুব পরিষ্কারভাবে হিন্দু নেতাদের বলেছিলেন যে—দেখুন, আপনারা কিছু করতে পারবেন না; করলে শেখ মুজিবই কিছু করতে পারবে। আর শেখ মুজিব তো হিন্দুই! আমাকে বলছে, "শেখ মুজিবও হিন্দু!" আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, "তাহলে শেখ মুজিবকে কেন দেবে?" বলে, "শেখ মুজিব তো হিন্দুই!" আমি বললাম, "কি করে বলছো তুমি যে শেখ মুজিব হিন্দু?" বলল, "শেখ মুজিবের বাবা, লাল মিয়ার দাদা ছিলেন নারায়ণ পাল।" সেই নারায়ণ পাল হাড়ি পাতিলের কুমার পাল ছিল, মানে হাড়ি পাতিল তৈরি করতেন।
- > না তা! কোন একটা ভুল করার জন্য বা গর্হিত কাজের জন্যে তখনকার দিনে হিন্দু সমাজ খুব কঠিন, কঠোর ছিল। যেকোনো ভাবে ওরা পরিত্যক্ত হয়; ধোপা, নাপিট, ব্রাহ্মণ—ওদের বন্ধ হয়ে যায়। তার জন্য ওরা বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। আচ্ছা, একটু ডক্টর বিশ্বাস, আমি আপনাকে একটু থামাচ্ছি। আপনার দাদু বলেছে লুতফুর রহমানের দাদা, অর্থাৎ শেখ আব্দুল হামিদের বাবা ছিল নারায়ণচন্দ্র পাল। এবং নারায়ণচন্দ্র পাল এরা ছিল কুমার—পাতিল বানাইতো, হাড়ি পাতিল বানাইতো। এখন আপনার কথা অনুযায়ী, ওই সময় একটা ওটাকে কি বলে, আপার কাস্ট, লোয়ার কাস্ট—নিম্নবর্ণ, উচ্চবর্ণ—এদের ভিতরে একটা ভেদাভেদ ছিল। এবং নারায়ণচন্দ্র পাল এমন কিছু একটা করেছে, গর্হিত কাজ, এমন একটা কিছু করেছে যার জন্য হিন্দু সমাজ তাকে বয়কট করেছে অথবা সমাজ থেকে তাদেরকে বিচ্যুত করেছে। সাবজেক্টটা কি এইরকম ছিল? "অবশ্যই এই ধরনের কাজের ভিতরে।"
- > আপনি কি আমাকে একটু বলবেন যে, তাকে যখন হিন্দু সমাজ তাকে বয়কট করল, এর পরবর্তীতে নারায়ণচন্দ্র পাল নিজে মুসলমান হলেন এবং তার ফাস্ট জেনারেশন হলো শেখ আব্দুল হামিদ? আপনি কি এটা বলতে চাচ্ছেন? "অবশ্যই।" ওকে, তারপরে বলুন, তারপরে কি হলো? "মানুষ তুলে ধরেছে, কিন্তু একটা সাবজেক্ট আমার কাছে, আমি মিলাতে চাচ্ছি। আপনি আমাকে বলছেন, আপনার দাদু বলছে, তারা এমন একটা গর্হিত কাজ করেছে যে গর্হিত কাজের জন্য নারায়ণচন্দ্র পালের বংশকে হিন্দু সমাজ সমাজচুত করেছে।"
- > এখন বিষয়টা কি এইটা হইতে পারে কিনা—যে নারায়ণচন্দ্র পালের মেয়ে অথবা নারায়ণচন্দ্র পালের ছেলেমেয়ে, তাদের ভিতরে কেউ বিয়ে ছাড়া গর্ভবতী হয়েছে? এবং এটা জানাজানির পরে তাদেরকে সমাজচুত করা হয়েছে? বিষয়টা কি এইরকম হতে পারে? "হতে পারে।" তখনকার দিনে বেশিরভাগই সমাজচুত হতো এই একই কারণে, কারণ তখন মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এত উন্নত হয়নি। কেউ গর্ভবতী হলে সে লুকানোর তখনকার দিনের সিস্টেম ছিল না। "তখন আমি কি সাবজেক্টটাকে এভাবে বলতে পারি কিনা যে নারায়ণচন্দ্রের মেয়ে অথবা নারায়ণচন্দ্র পালের ছেলে কোন মেয়েকে প্রেগনেন্ট করেছে?" "হইতে পারে, হতে পারে।" এছাড়া তো তাদেরকে সমাজচুত করার তো আর আমি কোন কারণ দেখি না। "অবশ্যই।" এই যে বইটা দেখুন, এই যে বাংলাদেশ সাবরিয়া চৌধুরী নিচের অংশগুলোর জন্যও যতিচিহ্ন যোগ করে পুনরায় লেখা হলো:
- > এখন যদি এইজন্য তাকে সমাজচুত করা হয়, তো পরবর্তীতে তারা এই সাবজেক্টটা নিয়ে তারা বলে যে, "তারা সমাজচুত করার পরে তারা মুসলমান হয়েছে।" আরেকটা কথা, আপনি আমাকে এখন বলছেন, তারা এখন বলতে চাচ্ছে—"তারা এখন বলতে চাচ্ছে যে, শেখ মুজিবের যে বাবা, উনার নাম লুতফুর রহমান; তার বাবার নাম শেখ আব্দুল হামিদ।" এখানে একটা সাবজেক্টে তারা ধরেছে, সেই সাবজেক্টটা আপনি শুনলে একটু অবাক হবেন। তারা বলতে চাচ্ছে—"আব্দুল হামিদ তার এক ভাই ছিল, তার নাম ছিল শেখ আব্দুল মজিদ। তারা বলতে চাচ্ছে..."
- > এখন, শেখ আব্দুল হামিদের ছেলের নাম হলো লুতফুর রহমান (লাল মিয়া, যেটা আপনি আমাকে বললেন), আর শেখ আব্দুল মজিদের মেয়ের নাম হলো সায়রা খাতুন, যা শেখ মুজিবের মা। তারা এখন এইটাকে এভাবে মেলানোর চেষ্টা করছে। বাট, হিস্ট্রিক্যালি, শেখ আব্দুল মজিদের নাম কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নাই। মানে আমি দেখি নাই; আমি অনেক লাইন আমি দেখেছি। যেমন, একটা জায়গায় বলেছে, শেখ আউয়াল দরবেশ—উনি, উনাকে প্রোট্রে করা হয়েছে; উনি বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহির বংশধর! উনি ভারতবর্ষে এসেছেন মোগল আমলে; মোগল আমলে উনি বাংলাদেশে এসেছেন, আর বাংলাদেশে নাই, ভারতে এসেছেন। উনার ছেলের নাম শেখ আউয়াল দরবেশের ছেলের নাম শেখ জাহির উদ্দিন; তার ছেলের নাম শেখ জান মাহমুদ; তার ছেলের নাম বোরহান উদ্দিন; তার ছেলের নাম শেখ একরামুল্লাহ; তার ছেলের নাম শেখ মোহাম্মদ জাকির।
- > এখন, এই যে শেখ একরামুল্লাহ, তার দুই ছেলে—শেখ একরামুল্লাহর দুই ছেলে—এক হলো শেখ আব্দুল হামিদ, আরেকজন হলো শেখ আব্দুল মজিদ। শেখ আব্দুল হামিদের ছেলের নাম লুতফুর রহমান; শেখ আব্দুল্লাহ একরামুল্লাহর আরেক ছেলের নাম শেখ আব্দুল মজিদ। কন্ট্রোভার্সিটা হলো এই, তারা গোজামিলটা দিয়েছে এইখানে। যদি আপনার কথা সত্য হয়—আপনি বলছেন, শেখ আব্দুল হামিদের বাবার নাম ছিল নারায়ণচন্দ্র পাল; গোজামিলটা ওইখানে! এর অর্থ শেখ একরামুল্লাহ বা মোহাম্মদ জাকির, এদের সাথে শেখ আব্দুল হামিদের কোন সম্পর্ক নাই। আপনার দাদার কথা যদি সত্যি হয়, আপনার আব্বুর কথা অবশ্যই সত্য। কারণ, আমার এলাকায় যত মুরুব্বি ছিল, আমাদের এলাকায় ওই বয়স বা তার থেকে বৃদ্ধ, ৯১-৯২ বছর বয়সের যে মানুষগুলো ছিলেন, আমাদের এলাকায় প্রত্যেকে আমাকে একই কথা বলেছে। সবাই মিথ্যা কথা বলে তাদের স্বার্থ কি আছে, বলুন? না না, ওই সময় আমি কোন স্বার্থের কিছু দেখি না, ওই সময়টায় আপনার সাথে কেন মিথ্যা কথা বলবে? আপনার দাদু কেন আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলবে? আপনার বাবা কেন আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলবে? উনারা শিক্ষিত মানুষ ছিলেন; আপনার বাবা, বাবা কি করতেন বাংলাদেশে? "স্কুল মাস্টার ছিলেন; উনি একজন স্কুল মাস্টার ছিলেন, একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন।" উনি কেন আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলবে? "আপনার দাদু কি করতেন, আপনার মনে আছে?" "তাছাড়া, বাবা যত আওয়ামী লীগের মিটিং হতো কাছাকাছি, বাবা শেখ মুজিবকে খুব ভালোবাসতেন এবং ওই যত মিটিং হতো আমাকে নিজে নিয়ে যেতেন। অতএব, বাবা শেখ মুজিব সম্পর্কে কেন ভুল তথ্য আমাকে দেবে, বলুন? আমার দাদাই বা কেন দেবে? আর আমাদের এলাকার সব মুরুব্বিরা কেন ভুল তথ্য দেবে আমাকে? তাদের লাভটা কি আমাকে ভুল তথ্য দিয়ে?"
- > আরেকটা কথা আছে, এই সাবজেক্ট আপনার দাদু কি করতেন? "আমার দাদু শুনেছি কিছু জমিজমা ছিল, কিছু লেখাপড়া জানতেন। আর মাধব্বর মানে ৩২ টা গ্রাম—৩২ টা গ্রামের মাধব্বর ছিলেন; মাধব্বরই করে বেড়াতেন।" ওকে, এখন ৩২ টা গ্রামে? আচ্ছা, আমি আমার এই সাবজেক্টটা আপনাকে, আপনার সাথে আমি আবার ব্যাক করছি। আমি একটু মোহাম্মদ ইসলাম সাহেবের কাছে আমি যেতে চাচ্ছি। ইসলাম সাহেব, আপনি ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস যে কথাগুলো বলছেন, আপনি কথাগুলো শুনেছেন। এই কথাটার উপরে, আমি আর আপনি, আমরা দর্শক, আপনি ওখানে ছিলেন না; আমার তখন জন্মও হয়নি। কিশোরকান্তি বিশ্বাসকে আপনি কত বছর ধরে চিনেন? "আমি ডক্টর বিশ্বাসকে চিনি ২০০০ সাল থেকে।" ওকে, আপনার কাছে মানে কিশোরকান্তি বিশ্বাসের সাথে আমার যে কয়বার কথা হয়েছে, আমার কখনোই মনে হয় না একটা তথ্যকে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন ESTABLISH করতে চাচ্ছেন। এখন আমি একটা কথা আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি।
- > ইদানিং, শেখ মুজিবুর রহমানের উপরে ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করা হয়েছে; শেখ লুতফুর রহমানের নামে ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করা হয়েছে। এবং ওখানে যতগুলো রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, প্রত্যেকটা রেফারেন্স গত ১০ বছরে যে তথ্য নিয়ে যে বইগুলো লেখা হয়েছে, শুধু ওই বইয়ের তথ্য। এই বইগুলো কোন আওয়ামী লীগ নেতা লিখেছে; এই বইগুলো কোন আওয়ামী লীগের লোকজনরা পয়সা দিয়ে কাউকে দিয়ে লিখিয়েছে; এই বইগুলো সজীব আহমেদ ওয়াজেদ পয়সা দিয়ে লিখিয়েছে; হাসিনা পয়সা দিয়ে লিখিয়েছে; তারপরে রেহানা পয়সা দিয়ে লিখিয়েছে। শুধুমাত্র ওই তাদের ভুয়া বই লেখানো দিয়ে রেফারেন্স দিয়েই এই ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করা হয়েছে। এখন এই বইগুলো যারা লিখেছে, তারা কেউ কিন্তু কিশোরকান্তি বিশ্বাসের মত তার প্রতিবেশী ছিলেন না। তাদের কোন দাদা তাকে এই কথা বলে নাই, বাবা তাকে এই কথা বলে নাই। তো আমি আর আপনি কিশোরকান্তি বিশ্বাসের কথাকে মিথ্যা বলার মতো কোন অপশন আপনার বা আমার কি আছে? কারণ, আমরা যদি পাশাপাশি গ্রামে মানুষ হই, পাশাপাশি থানায় মানুষ হই, ওই সময় লোকজন তো একজন আরেকজনকে চিনতো; আমার দাদা, আপনার দাদা, একজন আরেকজনকে চিনতেন। বংশ দিক থেকে একজন আরেকজনের সাথে সামাজিকতা করতো। আপনি কিশোরকান্তি বিশ্বাসের কথাটাকে কিভাবে দেখেন? যেই তথ্যটা উনি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন, দেখুন, ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাসকে আমার এইজন্য বিশ্বাস করতে হয় কারণ আমি যখন কলকাতাতে, এই ধীরনা দত্তকে বঙ্গবন্ধু বলে মানে ESTABLISH করার জন্য আমি সেখানে সভা সমিতি করি, সেখানে ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাসের সাথে আমার পরিচয়। উনি তখন ওই বইটা হাতে করে নিয়ে আসছিলেন আমার জন্যে যে ‘শেখ মুজিব বাংলাদেশ চাননি’। উনি আমার বক্তৃতা শুনে বললেন যে, "দাদা, আপনি যে কথাগুলি বললেন, আমি তো এই কথাগুলি আমার এই বইটাতে আমি উল্লেখ করেছি।"
- > তখন থেকে দেখলাম যে উনার বাড়ি বরিশাল; আরে, সরি, ফরিদপুর এবং গোপালগঞ্জ। উনি যখন ‘শেখ মুজিব বাংলাদেশ চাননি’ এই বইটা লিখেছেন, তখন দেখলাম যে আমার সাথে এবং ডক্টর কিশোরকান্তির সাথে হুবহু মিল আছে। কারণ, আমি আজকে ২০ বছর যাবত আমি বলে যাচ্ছি, আমি বলে বেড়াচ্ছি, লেখালেখি করছি—আমাদের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের কোন সম্পৃক্ততা বা অবদান নাই এবং আমাদের যে বাংলাদেশের যে ইতিহাস লেখা হয়েছে, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভুয়া ইতিহাস। তো যেই কারণে এখন শেখ মুজিবকে আমাদের এই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধর বলে এখন বাংলাদেশের এই আবেগে মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা করার জন্য চেষ্টা চরিত্র করা যাচ্ছে। আমি যখন শুনতে পেলাম যে, "শেখ মুজিবকে বলা হচ্ছে যে তার বংশধর আরব থেকে আসে," তখন আমি ভারতের আরেকজন ইন্টেলেকচুয়াল, আমি তার নামটা এখন বলছি না, উনি একটা পত্রিকার ডেপুটি চিফ এডিটর ছিলেন। আমি তার সাথে কথা বললাম যে, এই
- > তখন উনি বললেন যে, "হ্যাঁ, আরব দেশ থেকে কিছু মুসলিম এবং হয়তোবা কুরাইশ বংশের কিছু লোকজন ভারতবর্ষে আসছে। কিন্তু পূর্ববঙ্গে গেছে, এমন তথ্য বা ইতিহাস আমার এর আগে জানা নাই। তবে যারা আরব দেশ থেকে আসছে, তাদের একটা কুরসিনামা আছে। আপনার এই হযরত মুহাম্মদের পরে কে, তারপরে কে, তারপরে কে—এইভাবে তাদের কাছে একটা কুরসিনামা থাকে, যেটা এরাবিকে লেখা থাকে এবং সেটা পরে আবার ফার্সিতে হয়েছে।" আমি বললাম, "সেটা যদি হিন্দি বা ইংলিশে যদি যদি হয়?" বলে, "না, সেটা হলে হবে না। তাদের কুরসিনামাটা থাকতে হবে এরাবিকে, তারপরে সেটা ফার্সিতে।"
- > কিশোরকান্তি বিশ্বাস, আমি আপনার কাছে আবার ফিরে যাই। যদি নারায়ণচন্দ্র পাল নিম্নবর্ণের হিন্দু ছিল এবং পেশাগতভাবে উনি ছিলেন কুমার, নমশূদ্র সম্প্রদায়ের হিন্দু ছিলেন, নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ছিল, এবং উনি পেশায় ছিলেন একজন কুমার (হারিফ, মাটির হাড়ি পাতিল বানাইতেন), ওকে, এখন এই শেখ পদবীটা কেমনে আসলো? এই যে উনারা শেখ? আচ্ছা, আপনাকে বলছি—এখানে 'শেখ' মানে তালিবশে একার আর 'খ', আর 'ক' নয় কিন্তু! হ্যাঁ, কারণ আমাদের ঠাকুর দাদারা বা ওই মুরুব্বি যারা ছিল, বা আমাদের এলাকায় বয়স্ক লোক যারা ছিলেন, তারা আমাকে পরিষ্কার বলেছে বা ওখানে আলোচনা প্রচুরবার হয়েছে যে, মুসলমানরা পেঁয়াজ খায়, তার জন্য ওদের পেঁয়াজের রাগ! হ্যাঁ, পেঁয়াজের রাগ! ওরা সহজ গন্ডগোল করে এবং মারামারি, এসব কাছাকাছি সহজে করে; এইজন্য ওদের শেখ বলা হয়।
- > এবং শেখ হচ্ছে মানে হচ্ছে দাঙ্গাবাজ! আর ওদের মানে বিবিদের সেই বলা হয় শেখ, এবং সেই এই কথা থেকেই শেখ আসছে। এই 'শেখ' মানে, মানে ওই তালিব শেখ আর খা! আর দ্বিতীয় কথা, আপনি জানেন হয়তো, সেটা আপনাকে বলছি—যে ওই টুঙ্গিপাড়ার চারিদিকে ২৫-৩০ টা গ্রাম ছিল মুসলিম অধিষ্ঠিত গ্রাম। ওই গ্রামগুলোতে ব্রিটিশের খাতায় রাইটফ্রন্ট বা দাঙ্গা, দাঙ্গাবাজ এলাকা বলে পরিচিত ছিল। আর ওই দাঙ্গার নেতৃত্ব দিত শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার! কারণ, ওদের পরিবারে প্রচুর লোক ছিল, তার জন্য ওদের শেখ বলা হতো, তালিবশ একার 'ক' শেখ বলা হতো, এবং ওদের বিবিদের বলা হতো 'সেই'! আর আপনি দেখবেন, ওদের আচার-ব্যবহার, খাওয়া-দাওয়া, কথাবার্তা সবই নমশূদ্র সম্প্রদায়ের মত—পোশাক, পরিচ্ছদ, চিন্তা-ভাবনা। আপনি একদমই যদি ওরা না বলে যে আমি মুসলিম বা আমি শেখ, আপনি দুইজন মানুষ—একটা নমো, একজন আপনার পরিচিত যাদের কথা বলছেন, তাদের এক জায়গায় রাখলে, আপনি আইডেন্টিফাই করতে পারবেন না চিন্তা-ভাবনায়, কাজে-কর্মে, যেই দুইজন লোক আলাদা!
- > কারণ, কারণ, জিনগত এক একটা বৈশিষ্ট্য সবসময় বহন করে। আর আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, যেটা শেখ মুজিব ব্যবহার করলো না যে, "যে আমরা অমুকের বংশধর ছিলাম, অমুক ছিলাম," শেখ মুজিব মানে তো ব্যবহার করতে পারতো! কথাটা, তার তো তড়ি ডুবে যাওয়ার সময় হয়েছিল, তাও সে এটা ব্যবহার করার সুযোগ পায়নি। আজকে কেউ কাউকে দিয়ে কতগুলো পেটো রাইটার দিয়ে লিখে, এখন তারা বলছে, "আমরা হচ্ছি অমুকের বংশধর!" আর এই, আমার মনে হয়, কখন এটা হয়? যখন পলিটিক্যালি তার সমস্ত কিছু হারিয়ে যায়, তখন খরকুজা ধরে বাঁচার চেষ্টা করে, বংশ নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। আপনি যে বংশেরই হোন না কেন, আপনার যদি কোয়ালিটি থাকে তাহলে বাংলাদেশের লোক আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে। আর যদি আপনার কোয়ালিটি না থাকে, তাহলে আপনার ওই দেখাতে হবে—"আমি অমুক বংশের লোক, আমি তমুক বংশের লোক, আমি অমুক জায়গা লোক।"
- > এখানে, যখন আমি ভালো মনে আছে যে বুদ্ধদেব ভট্চার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আপনি হয়তো জানেন, তিনি যখন খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে বললেন, তখন তিনি বলেছিলেন, "আমি কবি সুকান্ত ভট্চার্যের ভাইপো।" এটা হচ্ছে বাঁচার জন্য দাদা! এই ইতিহাস আমরা প্রচুর পড়েছি; এই রাম-রাবণের যুদ্ধ সমস্ত কিছু পড়ে দেখেছি। এগুলো সমস্ত কৌশল, পেটো লেখকদের দিয়ে পয়সা দিয়ে। আমি তো আপনাকে বলেছিলাম, আগের দিনে যদি রামায়ণ রাম না জিততো, যদি রাবণ জিততো, তাহলে রামায়ণে রাবণয়ন হতো। এগুলো এরা লেখে পয়সার জন্যে বা কিছু শিরোপা পাবার জন্য। এখনো আমরা দেখেছি, আমাদের দেশেও এরকম প্রচুর আছে, এরা হচ্ছে বদলেহনকারী। এরা এইসব লিখে, "কি লিখলে ভালো হবে স্যার, আপনি বলুন, হ্যাঁ, আমরা লিখে দিচ্ছি, আপনি আমাকে একটা উপাধি দেন বা আমাকে কিছু টাকা পয়সা দিন," লিখে দিচ্ছে কাছে চড়ে।
- > ডক্টর বিশ্বাস, আমি আপনাকে যে কথাটা আপনি যে কথাটা বলেছেন, আপনার কথাটাকে আমি আবার আপনার কাছে ফিরে আসবো। আমি ইসলাম সাহেবের কাছে যাচ্ছি। ইসলাম সাহেব, উনি কিছুক্ষণ আগে বুদ্ধদেব গুহের কথা বলছেন, উনি কার ভাইপো এই কথাটাও পরিচয় দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে যখন তাদের আর কোন কিছু দেয়ার থাকে না, করার থাকে না, নিজেদের সারভাইভালের জন্য তারা এই ধরনের কথাবার্তা বলে! কথাটা অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট একটা কিছু। মুজিব, শেখ মুজিবের জীবদ্দশায়, আপনি কি কখনো শুনেছেন উনি বলেছে উনি আব্দুল কাদের জিলানীর রহমতুল্লাহ আলাইহির বংশধর? আপনি কি কখনো শুনেছেন উনি মা ফাতিমার বংশধর? উনার মুখ থেকে কখনোই শুনেছেন? শেখ কামালের মুখ থেকে? শেখ জামালের মুখ থেকে? আপনি কখনো শুনেছেন ডক্টর ওয়াজেদ মিয়ার মুখ থেকে?
- > আমি আপনার জবাবের প্রথমেই বলবো, "লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম!" এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ! আমি মনে করি আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশধর অবমাননা করা—এটা আমি মনে করি বাংলাদেশের মুসলমানরা হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত! কারণ আমরা এই ভারতবর্ষে—এটা তো সত্য কথা আমরা মুসলমান, কয়শো বছর আগের! আমি ডক্টর কিশোর বিশ্বাসের ওই যুক্তিটাতে আমি ১০০ পারসেন্ট একমত। কারণ, আমরা কয়শো বছর আগের মুসলমান; আমরাও কেউ না কেউ এই হিন্দু সম্প্রদায়ের বা অন্য যেকোনো সম্প্রদায়ের ছিলাম। ইসলাম কবে আসছে এদেশে? ওকে। তো আপনি এই আপনার, আপনার কি মনে হয়? এই মুহূর্তে হাসিনা শেখ, গত ১০ বছরে এই আজাইরা এই ধরনের মিথ্যাচারিতা দিয়ে ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস যেটা বলছে, নদীর মধ্যে যখন ভেসে যায় খরকুটা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চায়।
- > আপনার কি মনে হয় হাসিনা শেখ এবং তার আশেপাশের পাঁচাটা লোকগুলো এই কাজগুলো করছে? "এখন দেখুন, ডক্টর কিশোর বিশ্বাসকে আমি অশেষ ধন্যবাদ জানাই। উনি যে একটা এক্সাম্পল টানলেন এই ভারতের কলকাতার একসময়কার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, যখন তার পায়ের নিচে মাটি সরে গেল, তখন তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘আমি তো অমুকের ভাইপো!’ কথাটা বুঝেছেন তো? হাসিনাও ঠিক মিথ্যা কথা একদম! হাসিনাও ঠিক তাই! হাসিনাও ঠিক তাই, যখন তার পায়ের নিচে আর মাটি নাই। কারণ, বাংলাদেশের মেজরিটি মুসলমান তাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। এখন কিছু হিন্দুরাও তাকে ঘৃণা করে; কারণ, হিন্দুরাও তো টের পেয়েছে হাসিনা কি চিজ?
- > তারপরেও কিছু দালাল হিন্দু তৈরি করেছে, যাদেরকে দিয়া হিন্দুদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কখনো কখনো কিছু বক্তব্য তুলে ধরে। ডক্টর বিশ্বাস, আমি ইসলাম সাহেবের কাছে আবার ফিরে যাব। আমাকে একটা বলেন, এটাকে বলে খাঁটি বাংলাটা কোনটা? আমি জানি না, আপনার বাংলা আমার চেয়ে ভালো। "নৈতিক স্খলন" যদি একজন ব্যক্তির হয়, শব্দটা কি "নৈতিক স্খলন"? "আমি এত ভালো বাংলা জানিনা, আমি আপনার মত শিখিনি।" "ঠিকই বলেছেন, নৈতিক স্খলন!" "হ্যাঁ, নৈতিক স্খলন যখন একজন ব্যক্তির হয়, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কি একটা সমাজ কি ভালো কিছু আশা করতে পারে?" "অবশ্যই না!" "একটা মানুষের নৈতিকতার উপরেই তো একটা মানে সে কেমন শাসন করবে।"
- > দেখুন, আপনাকে আমি বলছি, বাবাসাহেব ডক্টর বিআর আম্বেদকর বলেছিলেন—কনস্টিটিউশন ভালো বা খারাপ বলে কিছু হয় না; শাসক তাকে কিভাবে চালাবে তার উপর কনস্টিটিউশন ভালো বা খারাপ হয়। যদি শাসক সেই কনস্টিটিউশন অনুসারে ভালো চালাতে পারে, তাহলে কনস্টিটিউশন ভালো। যদি সেই কনস্টিটিউশন অনুসারে শাসক খারাপ চালায়, তাহলে সে কনস্টিটিউশন খারাপ। আসলে কনস্টিটিউশন ভালো বা খারাপ কিছু হয় না। আপনারা একটা জিনিস আমাকে বলুন তো যে—এত পবিত্র বংশের একজন রক্ত যার গায়ে, সে মুক্তিযুদ্ধে মানে 'লব কন্টিনিউয়েশন অর্ডার অফ ১৯৭০-১৯৭১' করে যে সরকার গড়ে তুললেন। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? "জি, আমি শুনতে পাচ্ছি।" "হ্যাঁ, গড়ে তুললেন।"
- > এই যে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা, এই যে হাজার হাজার শহীদের রক্ত মারিয়ে তাকে মিথ্যা প্রমাণ করা—এটা কোন পবিত্র বংশের লোক করতে পারে? আপনি আমাকে বলুন তো। "আমি আপনার সাথে একমত যে, কিন্তু কথাটা হচ্ছে একটা জিনিস—আমি শেখ মুজিবকে বেনিফিট অফ দা ডাউট দিতে চাচ্ছি একটা কারণে; উনি এখন জীবিত নাই, নাম্বার ওয়ান। এবং উনি উনার জীবদ্দশায় উনি কখনোই দাবি করেন নাই যে উনার মা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা এবং আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহির বংশধর। উনি কখনো দাবি করেন নাই। ব্যক্তি হিসাবে উনার ভিতরে ভুল-ত্রুটি ছিল, অবশ্যই ছিল; যোগ্যতা ভিত্তিক বিচারেও উনার কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। কিন্তু একটা মানুষ যখন আর জীবিত নাই, তাকে টেনে এনে আমি অসম্মান করবো না। কিন্তু তার বংশধর যারা উনার নামের বেনিফিশিয়ারি যারা, তারা এখন যেগুলো করছে—আমি আপনি এই কথাটাকে যদি এভাবে বলেন যে, মা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বংশধররা কিভাবে প্রতিটা কথায় মিথ্যা কথা বলে?"
- > "শেখ আউয়াল দরবেশের বংশধররা প্রতিটা কথায় কিভাবে মিথ্যা কথা বলে?" "যেমন তারা বলে যে উনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত! জনগণরা উনাদেরকে নির্বাচিত করেছে, যার ডাহা মিথ্যা কথা। ২০১৪ সালের এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদেরকে কেউ ভোট দেয় নাই! ওয়াজ উনি বলে বেড়াচ্ছে উনাকে জনগণ ম্যান্ডেট দিয়েছে।" "দেখো, এরকম একটা মিথ্যা দাম্ভিকতা—কোন পবিত্র রক্তের? আপনি আমাকে পৃথিবীতে দেখান, কোন পবিত্র রক্ত থেকে এরকম মিথ্যাবাজ, ধাপ্পাবাজ কোন মানুষ জন্মেছে? না, আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত।"
- > ইসলাম সাহেব, আপনি কি এই কিশোরকান্তি বিশ্বাস এবং আমি যেভাবে সামারাইজ করলাম—একটা পবিত্র রক্ত যা শরীরে থাকে, তার দ্বারা এইভাবে এ ধরনের আচার-আচরণ, মিথ্যাচারিতা, নৈতিক স্খলন—তাদের দ্বারা সম্ভব কিনা? এখন আরেকটা কথা আছে। অনেক হুজুরের ঘরের বদমাইশ জন্ম নেয়, অনেক ভালো মানুষের ঘরেও বদমাইশ জন্ম নেয়। আমি ওদিকে যাচ্ছি না। জেনেটিক্যালি আমি ডাক্তার না; কিশোরকান্তি বিশ্বাস, উনি ডাক্তার; আপনিও ডাক্তার না। কিন্তু নীতিগতভাবে আপনি কি মনে করেন না যে হাসিনা শেখের বর্তমান আচার ব্যবহার ওই যে হাড়ি পাতিল বানাইছে কুমার অথবা নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের মত তার আচার-আচরণ?" "একদম সঠিক! একদম সঠিক!"
- > "এটার তুলনা তো ডক্টর কিশোর বিশ্বাস তুলে ধরছিলেন যে, তাদের পরিবারে কাউকে আর ওই বাংলাদেশের নমশূদ্র কাউকে পাশাপাশি দাঁড় করান। তাদের কথাবার্তা শুনেন, দেখবেন যে একই ওইভাবে গালাগালি কইরা কথা বলে, মানুষকে অসম্মান কইরা কথা বলে, কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে। বেসিক্যালি হাসিনা এবং হাসিনার বোন রেহানা, এদেরকে তো যদি কোন জায়গায় বসায়ে দেওয়া হয়, এরা কোরআন শরীফ মাথায় নিয়ে মিথ্যা কথা বলবে! আসলে তো কোরআন শরীফের ভ্যালু এদের কাছে নাই, মানে আমি তো মনে করি না আছে। কারণ, কোরআন শরীফের ভ্যালু যাদের মধ্যে থাকে, তারা কি করে মিথ্যা কথা বলে? তারা কিভাবে প্রতিটা কথায় মানে নিজেকে ইনভল্ভ করায়—গুম, খুন, মিথ্যাচারিতা, ধর্ষণের সাথে ইনভল্ভ করায়?"
- > "আমি আবার ব্যাক করে যাই। আমি যখন, আমি সাবজেক্টটাকে যদি এভাবে আজকের আমি কনক্লুড করি, আপনি খুব ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডক্টর বিশ্বাস, শেখ শব্দটা কোথা থেকে এসেছে—আপনার পিতামহ এবং প্রপিতামহ। আমি ভুল করলে আমাকে ভুল ধরায় দিয়েন। আমি বাংলায় ভালো না, পিতামহ বলতে আমরা দাদাকেই বুঝি আর প্রপিতামহ হলো দাদার বাবা। দাদার বাবা। আর এখন আরেকটা কথা আপনাদের কাছে আমি, আমি আবার সামনে টেনে আনতে চাচ্ছি। হাসিনা শেখ এবং তার বংশধরেরা তাদের মিথ্যাচারিতা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে শেখ মুজিবুর রহমান নাকি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং উনার নেতৃত্বে অনেক কিছু হয়েছে। ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস, আপনি এই বিষয়টা নিয়ে একটা কিছু বলতে চেয়েছিলেন। আপনি কি বলতে চান, শেয়ার করুন।"
- > "আচ্ছা, আমি বলছি—ভাষা আন্দোলন হওয়ার পরে শেখ মুজিব অ্যারেস্ট হয়েছিল। অ্যারেস্ট হওয়ার পরে, ২৭ তারিখে মানে ২১ তারিখে আন্দোলন হলো, ২৭ তারিখে উনাকে মুক্তি দেয়া হলো। যে ২৭ তারিখে তখনও ভাষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে খুঁজে পুলিশ এবং তাদের ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে, তারা অন্তরীণ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় শেখ মুজিবকে মুক্তি দিয়েছিল ফরিদপুর জেল থেকে। তাহলে তিনি কি করে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? যদি পাকিস্তান পুলিশ মনে করতো তিনি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাহলে কি তাকে ২৭ তারিখে ফরিদপুর জেল থেকে মুক্তি দিত?" "আপনারাই বলুন না আমাকে। আপনার কি মনে হয় উনি পাকিস্তানি মুসলিম লীগের সহায়তা করেছেন, উনাদের সাথে কাজ করেছেন, দেখে উনাকে ছেড়ে দিয়েছে?" "আপনি কি এটা বলতে চাচ্ছেন?" "অবশ্যই। কারণ আপনি তো, আপনি তো দেখে, আপনি তো এটাই জানেন যে রমনা মাঠে উনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, যে জোরালো ভাষায় তীক্ষ্ণ বক্তব্য শাসকের বিরুদ্ধে রেখেছিলেন, সেটা সাধারণ শাসক যদি হতো গণতান্ত্রিক শাসক, তাহলে তাহলে উনাকে অ্যারেস্ট করতো। একটা সামরিক শাসক কি করে উনার কেশাগ্র পর্যন্ত স্পর্শ করলেন না?"
- > "তাহলে সেটিং তো আছে এবং এর এগেন্স্টে অনেক যুক্তি আছে!" "হ্যাঁ, কোন মানুষ, তার যখন খানসেনারা বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে হত্যা করে করছে, সেই সময় উনি উনার ওয়াইফ বা মেয়েকে খান সেনাদের জিম্মায় রেখে ইসলামাবাদ চলে গেলেন? এটা কি করে সম্ভব? আপনি আমাকে বুঝান! এক ঘন্টা সময় পেয়ে, যখন সবাই অন্তরীণে চলে
- > গেলেন, সেই সময় উনি অন্তরীণে গেলেন না। তাজউদ্দিন আহমদ সাহেবের মেয়ে যে বইটা লিখেছে ‘তাজউদ্দিন আহমেদ নেতা ও পিতা,’ সেখানে তো উনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, "সেই রাত্রে আমার বাবা গিয়েছিলেন একটা টেপ রেকর্ডার আর ভাষা তোমার আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ঘোষণা করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করা লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন।" উনি বলেছিলেন যে, "আপনি এতে সই করে দিন, কারণ কাল থেকে আমরা অন্তরীণে চলে গেলে স্বাধীনতা সংগ্রাম আপনি ঘোষণা না করলে কে ঘোষণা করবে? আপনি এতে সই করুন।" কিন্তু উনি সেটা সই করেননি। টেপ করে দেওয়ার কথা বলেছিল, তাও টেপ করে দেননি।
- > এবং সেই সময় দেখা গেছে শেখ মুজিবের ওয়াইফ জামাকাপড় ভাঁজ করে সুটকেসে ভরছেন। তো আপনি বলুন যে, এটা যদি চিটিং না হয়, তাহলে উনি কি রিস্ক নিয়ে ওখানে থেকে গিয়েছিলেন? এবং এটাও তো সত্যি যে, যে অফিসার উনাকে অ্যারেস্ট করেছিলেন, সেটা উনাকে সাতদিন ওখানে রেখেছিলেন। তা সে জিজ্ঞেস করেছিল যে, "স্যার, আপনি সবাই যখন চলে গেল, আপনার বাড়ি থেকে আপনি কেন গেলেন না?" তখন উনি তো পরিষ্কার বলেছিলেন যে, "আমি পাকিস্তানের ক্ষতি হোক, এটা চাই না।"
- > ইসলাম সাহেব, আপনি কি উনার এই মন্তব্যটার উপরে কিছু বলতে চান? উনি এমন কিছু বলেছেন, যেটার সাথে আপনি দ্বিমত পোষণ করেন? "দেখুন, এই কথাগুলি আমি আজকে কত বছর যাবত লিখে যাচ্ছি; বাংলাদেশী মানুষদেরকে আমি সচেতন করতে চাচ্ছি যে তারা সত্যিকারের ইতিহাস জানেনা বিধায়। আজকে শেখ মুজিবকে তারা বঙ্গবন্ধু এবং জাতির জনক বলে এখন মুখে ফেনা তুলে ফেলতেছে। কিন্তু মূলত আপনার কি মনে হয় না তারা জাতির পিতার যেভাবে তাকে যদি বলে যে, 'শেখ মুজিবুর রহমান বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহির বংশধর এবং আমাদের শেখ মুজিবুর রহমান মা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বংশধর,' তাহলে তো তারা জাতির পিতা মানবে না কেন? তাদেরকে তো কোন জায়গায় একটা বিশাল দরবার খুইলা, ওইখানে তো পূজা করা শুরু করবে!"
- > "এটা করবে না? দেখুন, বাংলাদেশের মুসলমানরা অত্যন্ত আবেগী এবং সরল, যে কারণে তারা এখন এগুলি প্রতিবাদ করতেছে না। তবে মনে রাখবেন, মিস্টার জ্যাকব মিল্টন যদি আল্লাহ বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ মিলে, তাহলে আমি ব্যক্তি প্রথম, যিনি শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু নন, শেখ মুজিব জাতির জনকও নন—আমি এটা নিয়ে বাংলাদেশের আদালতে আমি আপিল করব এবং কি কারণে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু এবং জাতির জনক এটা প্রমাণ করতে হবে আজকের আওয়ামী লীগেরদেরকে।"
- > মিস্টার ইসলাম, আমরা শোয়ের শেষ দিকে; আপনি আমাদের আজকের আলোচনার উপরে আমি আপনাকে সামারাইজ করার সুযোগ দিচ্ছি। আপনি যদি কিছু বলেন? "সম্মানিত দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ, আমরা এখানে জন কথা বললাম, একজন ভারত থেকে আর আমি একজন বাংলাদেশী আমেরিকা থেকে; আমরা আমাদের বাস্তবতা থেকে কথাগুলি বলেছি। আর আপনারাও আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করবেন যে, শেখ মুজিবের পরিবার, হাসিনার পরিবার এখন কি আমাদের কোরাইশ বংশের মা ফাতেমার বংশধর হতে পারে কিনা—এই বিবেকটা আপনাদেরকে আমি রেখে দিলাম। ধন্যবাদ।"
- > ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস, আমি চাচ্ছি আপনার বক্তব্যগুলোকে আপনি সামারাইজ করে এর সাথে যদি আরো কিছু অ্যাড করতে চান, আমার দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্লিজ। "দেখুন, বাংলাদেশের মানুষ খুব মানে, বাঙালি জাতীয়তাবাদী, আবেগপ্রবণ এবং তারা অসাম্প্রদায়িক। তাদের আমি ধর্মমত নির্বিশেষে বলছি যে, বাংলাদেশের যদি ভালো করতে হয়, তাহলে এই মিথ্যা অবাঞ্চিত জিনিসগুলোকে ভালো করে জেনে সেগুলোকে পরিষ্কার করা দরকার। এবং আমি হিন্দুদের ক্ষেত্রে একটা কথা বলতে চাই যে, দীর্ঘদিন যে আপনাদের সাথে মুজিবুর রহমান কি ব্যবহার করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে বা তারপরে এবং বর্তমান শেখ হাসিনাও যে ব্যবহারটা করছে—এখনো তো একটা স্লোগান আছে যে 'হিন্দুরা থাকলে ভোট যাবে, জায়গা জমি যাবে।' তাহলে কতদিন আর আপনারা ভোটার হয়ে থাকবেন? এবার একটু ভাবার সময় আসছে। এবার আপনারা আপনাদের সত্তাকে জাগ্রিত করে সত্য-মিথ্যা বুঝে একবার ভাবুন যে, কাকে আপনারা এতকাল ধরে লালন পালন করে আসছেন। এবার একবার দৃষ্টি দেয়া উচিত; আপনাদের স্বচ্ছ দৃষ্টি একদিন আপনাদের পথ দেখাবে।"
- > ডক্টর বিশ্বাস, মোহাম্মদ ইসলাম, আপনাদের দুজনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সময় দেয়ার জন্য। এবং আপনাদের সাথে খুব তাড়াতাড়ি আবার কথা হবে। দর্শকবৃন্দ, এই ছিল আমাদের শো। একটা বিষয় আমার কাছে রীতিমত কষ্টদায়ক। শেখ মুজিবুর রহমান উনাকে আমি সম্মান করি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে, মুক্তিযুদ্ধের নেতা হিসেবে। উনি উনার জীবদ্দশায় উনি ভুল-ত্রুটি করে গেছেন, কিন্তু এ ধরনের ভরনামি করেননি। উনি প্রতিটা কথায় উনি মিথ্যা কথা বলে জনগণের কাছ থেকে ভালোবাসা আদায় করার চেষ্টা করেননি। উনি একটা কাজ করেছেন, উনি উনার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটা দেশকে গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু উনার লেগেসিকে উনি শেষ করে যেতে পারেননি।
- > কারণ, এর ভিতরে বাংলাদেশের অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে পর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ থেকে এবং পৃথিবী থেকে তাকে চলে যেতে হয়েছে। তার মৃত্যুর এত বছর পরে, আমি উনাকে ডেকে এখন ক্রিটিসাইজ করার পক্ষে না। কিন্তু কষ্টের কথাটা হচ্ছে—উনার নিজেরই সন্তান যে, উনার উপরে পাপ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে, এই দাবি করে যে উনি হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বংশধর। ওই পাপকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে উনি যখন ক্লেইম করছেন যে শেখ মুজিবুর রহমান বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহি এর বংশধর। আমি আপনাদেরকে যে কথাটা, আমার ইনভেস্টিগেশনে বেরিয়ে এসেছে, সেটা হচ্ছে এই: ১৫০০-১৬০০ দশকে, মোগল এরা শেখ আব্দুল আউয়াল দরবেশ নামে এক ভদ্রলোক ইরাক থেকে ভারত ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টে এসেছে। কিন্তু তার সাথে শেখ আব্দুল হামিদের কোন সম্পর্ক ছিল না; তার সাথে শেখ আব্দুল মজিদের কোন সম্পর্ক ছিল না। এজ এ ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট, শেখ আব্দুল মজিদ যাকে বলে যে হাসিনার নানা অথবা নানার বাবা, যে এ ধরনের কাউকে হিস্টরিক্যালি খুঁজে পাওয়া যায় নাই! উনারা জাস্ট ডট মিলিয়েছে।
- > আরো একটা কাজ করেছে—বিভিন্ন লোকজনদেরকে দিয়ে পাঁচটা লোকজনদেরকে দিয়ে বিভিন্ন সময় ব্লগ তৈরি করিয়েছে, নিউজ আর্টিকেল লিখেছে, বই লিখেছে। এগুলোর উপরে বেস করে তারা এখন ওয়াইকিপিডিয়া তৈরি করেছে। অর্থাৎ, নিজেদের একটা ভুয়া পরিচয়কে যেভাবে সামনে আনা যায়। ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস একটা কথা বলেছে—সে কথাটা বলেছে একজন বংশীয় মানুষ যার শরীরে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহ আলাইহির রক্ত আছে, যার শরীরে মা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার রক্ত আছে, তারা এত খারাপ হতে পারে না। কিন্তু এই খারাপটা কারা হতে পারে? ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাসের উপরে আপনি রাগ করতে পারেন, আমি রাগ করতে পারি, মোহাম্মদ ইসলাম রাগ করতে পারে। কিন্তু উনার কথাটা ফেলে দেয়ার মতো না! উনি বলেছেন—এই লোয়ার কাস্ট, নিম্নবর্ণ হিন্দুদের আচার-ব্যবহার; আপনি পাশাপাশি বসলেই বসতে পারবেন। তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণে ছোটলোকীপনা, বদমাইশী, অসম্মান—এ ধরনের এর ফালতামি তাদের আচার ব্যবহারে বেরিয়ে আসে। আপনারা হাসিনার দিকে তাকিয়ে দেখুন, শেখ রেহানার দিকে তাকিয়ে দেখুন—তাদের ভিতরে কি আপনারা কুমার দেখতে পান, যারা হারি পাতিল বানাইছে?"
- > "আমি দেখি, ভাই, আমাকে আপনারা মৃত্যুদণ্ড দিতে চান? ফাইন! কিন্তু আমি দেখি, তাদের ভিতরে এ ধরনের ছোটলোকীপনা প্রতিটা মুহূর্তে আমার চোখে পড়ে। তো আপনারা সবাই কিশোরকান্তি বিশ্বাসের উপরে রাগ করতে পারেন। আমি রাগ করি না। কেন করি না? আমি সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো দেখি।"
- > "এই ছিল আমাদের শো। আরেকটা বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি—হাসিনা শেখ! কথায় কথায়, শেখ মুজিবকে যদি পারতেন, উনি পলাশীর যুদ্ধেও শেখ মুজিবের কৃতিত্ব জাহির করতেন। ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবের কোন কৃতিত্ব নাই। ডক্টর কিশোরকান্তি বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ ইসলাম সমানভাবে একটা কথা বলেছেন। সে কথাটা কি ছিল? উনি যদি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বই দিয়ে থাকেন, মুসলিম লীগ সরকার উনাকে অ্যারেস্ট করার পরে ২৭ তারিখে উনাকে কেন ছেড়ে দিয়েছে?"
- > "ক্যান উই ক্লেইম দ্যাট হি'জ ওয়ান অফ দা কোলাবরেটর অফ দা পাকিস্তানি গভমেন্ট? আই ওয়াজ নট দেয়ার এট দ্যাট টাইম; আই ওয়াজ ইভেন এডাল্ট। তো, আমি আজকের বলতে পারবো না উনি এ সময় ভালো করেছেন কি খারাপ করেছেন। কিন্তু এই সময় এসে, ব্যক্তি হিসেবে আমি উনাকে সমালোচনা করবো না। কিন্তু তার মেয়ে তাকে এখন যেভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে, তাতে সাবজেক্টটা এই হচ্ছে—ব্যক্তি, উনি উনার কর্মের দ্বারা যদি জাহান্নামে নাও যান, তার মেয়ের আচার-আচরণ এবং মিথ্যার জন্য উনাকে জাহান্নামে যেতে হবে।"
- > "একটা কারণে—ইংরেজি এবং জুডিশিয়াল প্রসেসে একটা কথার প্রচলন আছে, 'গিল্টি বাই অ্যাসোসিয়েশন'। এখন, শেখ মুজিবকে শেষ বিচারের দিন যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, 'তুমি কি মা ফাতিমার বংশধর?' উনি তো বলবে, 'আমি বলি নাই, কে বলেছে?' 'হাসিনা বলেছে।' 'হাসিনা কে?' 'তোমার মেয়ে।' সাবজেক্টটা দুঃখজনক!"
- > "দর্শকবৃন্দ, এই ছিল আমাদের শো। এই শো এর ভিতরে আমি বলবো না আমার প্রতিটা কথা কোরআনের আয়াত অথবা বাইবেলের আয়াত! আমরা ইনভেস্টিগেট করছি, আরো পড়বো। এই পর্যন্ত আমি যা জেনেছি, কিশোরকান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে যা জেনেছি, মোহাম্মদ ইসলামের কাছ থেকে যাকে জেনেছি—এই কথাগুলোকে অবিশ্বাস করার মতো কোন মেরিট আমার কাছে নাই। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে। ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।"
- > "কারা রইলো কাপাট, কারা রইলো কাপাট ভেঙে ফেল করলো পাঠ রক্ত জামার শিকল পুজোর ভাষান বেটি ওরে ও তরুণ নিশান, ওরে ও তরুণ নিশান! গলায় বিশাল ধ্বংস নিশান কাশির কাজের ভেজি তারা রইল হোকা।"
Advertisement
Add Comment
Please, Sign In to add comment
Advertisement